Welcome to mams

সুপ্রিয় এলাকাবাসি,
আসসালামু আলাইকুম। করুণাময় সমীপে সকলের সুস্থতা ও সফলতা কামনা করে আমার এ লিখন।

ঢাকার অদুরে শিল্পাঞ্চল অধ্যুষিত টঙ্গীর পশ্চিম পাদদেশ কামারপাড়া। তিন দিকে তুরাগ নদ, দক্ষিণদিকে খিদির খালের জলে আবদ্ধ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রানাভোলা, ফুলবাড়িয়া, নয়ানগর, ডিয়াবাড়ি, ধউর, আশুতিয়া ও কামারপাড়া গ্রাম নিয়ে এ এলাকাটি রাজধানি ঢাকার একদম উত্তারাংশ। পঞ্চাশের দশকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এ এলাকাটি ছিল অনাচার,কদাচারপূর্ণ, অসামাজিক আদিম আমোদ প্রমোদের এক অভয়ারণ্য; নিত্যদিনে নেশাজাতীয় পানীয় তাড়ি, মদ ও গাঁজা পানের আসর বসত এলাকার অধিকাংশ বাড়িতে কিংবা বাড়ির আশে পাশে। এ সমাজে একাধিক পতিতালয় বিদ্যমান ছিল । বিভিন্ন নেশা পান ও পতিতাগমনের সস্তা খদ্দের ছিল টঙ্গীর শিল্প-কারখানায় কর্মরত শ্রমিকেরা। গ্রামের যুবা বুড়া ও উঠতি বয়সী ছেলেরাসহ, সমাজের অধিকাংশ হেডম্যানও এ জাতীয় নেশা তথা ‘মদ ও মহিলায়’ আসক্ত ছিল। এ অনৈতিক আদিমতাই ছিল এ এলাকার বিনোদনের হাতিয়ার। কেউ কেউ এ তাড়ি তৈরি ও বিক্রিকে পেশা হিসেবে ছিল। এলাকাটিতে বিদ্যাশিক্ষার বিন্দুমাত্র ছিল না।

সামাজিক এহেন পরিমণ্ডলে ১৯৫৩ সালের ১৫ জানুয়ারি (সনদমতে) কামারপাড়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে আমার জন্ম। বাবা মোঃ ইয়াছিন মিয়া ছিলেন ধর্মপ্রাণ সহজ-সরল এক ব্যবসায়ী, মা ছিফরজান বিবি ধর্মানুরাগী মোল্লা বংশীয় মেয়ে। আমরা চার ভাই এক বোনের মধ্যে আমি চতুর্থ । ছোট্টবেলা থেকেই ধর্মপ্রাণ পিতৃতুল্য বড় ভাই মোঃ ইউনুছ মিয়ার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে আমার লেখাপড়ার হাতে খড়ি।
শৈশবে আমার হাঁপানি রোগ নিরাময়ে অভাগী মায়ের কোলে চড়ে কত ওঝা বদ্যি ও পীর ফকিরের বাড়িতে গিয়েছি এবং কত পথ্য গিলেছি! কত তাবিজ-কবজ গলায় পরেছি, তা জমালে হাতিরও এক বোঝা হয়ে যেত। মায়ের মুখে শুনেছি ছয় মাস বয়সে নাকি আমি ‘পোলিও’তে আক্রান্ত হয়েছিলাম; আমার মায়ের প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা ও আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে ‘পোলিও’র কোনো যন্ত্রণা আমার মনে নেই। তবে শ্বাসকষ্টজনিত শত বিনিদ্র রজনী যাপনের দুঃসহ স্মৃতি আমৃত্যু স্মরণে থাকবে।

শৈশবের এ শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ও প্রাণান্তকর শ্বাসকষ্ট আমাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। বড় ভাইয়ের কড়া শাসন ও মায়ের সার্বক্ষণিক তদারকি তৎকালীন সমাজে ঘরে ঘরে বিরাজমান তাড়ি, মদের উৎকট গন্ধ, বাতাস ভারী করা ভাসমান গাঁজার ধোঁয়া এবং গ্রাম্য নিষিদ্ধ পল্লীর হাতছানি কোনটাই আমার ওপর কোনো ক্রিয়া করতে পারেনি। তবে আমি সমাজের এ দুরবস্থা,আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক ভয়ংকর অশনিসংকেত তা উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম সে ছোট্ট বয়সেই। তাই এলাকার পরবর্তী প্রজন্মের কথা ভেবে আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। এ থেকে উত্তরণের উপায় খুঁজছিলাম।

কালের অমোঘ স্রোতের টান অতিদ্রুত আমার শৈশব-কৈশোর কেড়ে নিল।
১৯৬৮ সাল। টঙ্গী হাই স্কুল থেকে লেটারমার্কসহ প্রথম বিভাগে এসএসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলাম। ১৯৪৭ সালে স্কুলটি স্থাপিত হওয়ার পর লেটারমার্কসহ প্রথম বিভাগে পাস করা আমিই প্রথম শিক্ষার্থী। রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে আপ্লুত হতাম, ভালো কিছু করলে মানুষ প্রশংসা ও সম্মান জানাতে কার্পণ্য করে না।বিষয়টি ভবিষ্যতে কিছু করার উৎসাহ যোগালো।

জীবন গড়ায় আত্মপ্রত্যয়ী হলাম। তারুণ্যের সকল তরল উচ্ছলতাকে দূরে সরিয়ে, বিদ্যমান সামাজিক অনাচার, কদাচারকে দূর করে, শিক্ষাহীন তমসাবৃত সমাজকে আলোকিত করার উপায় খুঁজতে লাগলাম। কলেজজীবনের প্রারম্ভেই অদম্য দৃঢ় সংকল্প নিলাম’ সমাজ থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত নোংরা সব ক্লেদ মুক্ত করবই, ইনশাল্লাহ।

সমমনা বন্ধুছাত্র আলী আশরাফ, গাজী আউয়াল, বারেক (নয়ানগর), বারিক (ভাটুলিয়া), বারিক (ধউর), সহপাঠী আবুল হাসিমসহ আরো কতিপয় সমমনা ছাত্র ও যুবককে নিয়ে ১৯৬৯ সালের ২৪ ডিসেম্বও এলাকায় ‘হরিরামপুর সাংস্কৃতিক সংসদ’ নামে এক ক্লাব প্রতিষ্ঠা করি। উক্ত ক্লাবের পতাকার নিচে সমাজের প্রত্যয়ী তরুণ ছাত্র-যুব ঐক্যবদ্ধ শক্তি নিয়ে সমাজের অনাকাঙ্খিত অনৈতিক জঞ্জাল নিরসনে নিয়োজিত হই। কলেজ পড়ূয়া তারুণ্য নিয়ে ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসিম ও সভাপতির দায়িত্বে থাকা আমি স্বয়ং আবদুল আউয়াল, নিজেরাই হাতে বাঁশের লাঠি নিয়ে সকল অনাচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলি। সমাজের অনেক নিরীহ লোক আমাদেরকে সক্রিয়ভাবে আকুন্ঠ সমর্থন দেয়।
উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, আমাদের সমাজ সংস্কারের এ সংগ্রামে দারুন অনুকূল প্রভাব ফেলে। আমি তখন ভাওয়াল বদরে আলম কলেজের ছাত্র সংসদ ও ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী। নতুনভাবে আমার দেশ ও সমাজকে গড়ার আকাশছোঁয়া স্বপ্ন, বুক ভরা নৈতিকতার সাহস, দেহমনে তারুণ্যমিশ্রিত যৌবনের অপ্রতিরোধ্য উদ্যমতা। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যথাযথ ভূমিকা রেখেই হরিরামপুর সংসদের মাধ্যমে বিশেষ করে আমাদের এলাকাকে শিক্ষাদীক্ষায় একটি আলোকিত আদর্শ সমাজ হিসেবে গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এগুতে থাকি।
১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচন। বাঙালি জাতির ভাগ্য পরিবর্তনের এক কাঙ্খিত সুযোগ। স্কুল-কলেজের সহপাঠীদের ও এলাকার ঘরে ঘরে বাঙালির ভাগ্য পরিবর্তনের এ অপূর্ব সুযোগকে হাতছাড়া না করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধু তথা বাঙালির নৌকাকে জয়যুক্ত করার সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে লিপ্ত থেকে জয়ী হই।

১৯৭১। আমি জিন্নাহ কলেজের ছাত্র। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরও পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্টি বাঙ্গালীকে দেশ শাসনের সুযোগ দিল না; বরং অন্যায়ভাবে পাকিস্তানি হায়েনার দল আমার মাতৃভুমিকে আক্রমণ করে গণহত্যা শুরু করল।

দেশমাতৃকার নাড়ির টানে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লাম। এলাকার তথা ক্লাবের সমমনা বন্ধুদের সাথে নিয়ে ভারত থেকে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দেশে এসে পাকিস্তানি হায়েনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে জয়ী হলাম। কাঙ্খিত স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জিত হলো। মুক্তিযুদ্ধের পর পুনরায় ‘হরিরামপুর সাংস্কৃতিক সংসদে’র সদস্যদের নিয়ে দ্বীগুন উৎসাহ উদ্দীপনায় এলাকা আলোকিত করণে নিয়োজিত হলাম।
মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের খাওয়ার জন্য এলাকাবাসীর দেয়া চাল, ডাল, টাকা-পয়সা ও মুক্তিযুদ্ধ শেষে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের পাহারাকৃত মিলকারখানায় মালামালের সুষ্ঠু সংরক্ষণের জন্য ব্যবসায়িদের নিকট থেকে প্রাপ্ত বখশিষের সমুদয় অর্থ ‘হরিরাম সাংস্কৃতিক সংসদ’-এর তহবিলে জমা করি। আমাদের মুল লক্ষ্য এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়ানো । স্কুলের নামে জমি কিনি।

অনেক ত্যাগ তিতীক্ষার পর ১৯৭৭ সালে ক্লাবের তথা হরিরামপুর সাংস্কৃতিক সংসদের স্বপ্নের ‘কামারপাড়া হাই স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করি।
এতদিনে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র তাদের নিষ্ঠুর ষড়যন্ত্রের কুট চক্রান্তের জাল সকলের অন্তরালে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিস্তার করে ফেলেছে। অপপ্রচারের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের মানসম্মান হেয় করার অপপ্রয়াস চালাতে থাকে।

’৭৫-পরবর্তী সময় থেকে থানাসহ সমাজে ‘চোরের মায়ের বড় গলার আওয়াজ’ উচ্চ হতে থাকে। সামাজিক এ পরিবেশে আমি সমাজসেবার সাথে সাথে ‘টঙ্গী পাইলট হাই স্কুলে’ সহকারী শিক্ষকতার কাজে নিয়োজিত হই (১৯৭২-১৯৭৮)।

১৯৭৮ সালে টঙ্গী হাই স্কুলে কর্মরত থাকাবস্থায় এলাকায় গণপিটুনিতে এক কুখ্যাত সিঁধেল চোর মারা যায়। ভিলেজ পলিটিক্সের নির্মম শিকার হই; গ্রামের দুষ্টচক্রের কুটচালে ‘মার্ডার কেস’-এর আসামি হই। এলাকায় নিরাপদে অবস্থান কষ্টকর হয়ে ওঠো। আমার নিরাপত্তা নিয়ে আবার মা বাবার অস্থিরতা বেড়ে গেল।

অতপর ৭৮ সালেই ‘সার্কেল অ্যাডজুটেন্ট অব আনসার’ পদে সরাকারি কাজে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে এলাকা ছাড়ি। ৮ নং আনসার ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে প্রথমে ১০ নং ও পরবর্তী সময়ে ১২ বেঙ্গল রেজিমেন্টের সাথে কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের ফারুয়া নামক স্থানে তথাকথিত শান্তি বাহিনীর বিরুদ্ধে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখি।
১৯৮৩ সালে আনসার অ্যাডজুটেন্ট পদ ছেড়ে আবারও পাবলিক সার্ভিস কমিশন আহূত ‘সাব-রেজিস্ট্রার’ পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে ‘সাব-রেজিস্ট্রার পদে’ চাকুরিতে যোগদান করি। নিজ দেশেই প্রায় ৩৩ বছরকাল প্রবাস কাটিয়ে ২০১১ সালে অবসরে আসি।

চাকুরি থেকে অবসরে এসে সমাজোন্নয়নে ক্লাবকে আবার সক্রিয় করতে উদ্দোগী হই। কাজ করতে গিয়ে দেখি মানুষের মনমানষিকতার অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। অনেক অতিচেনা মানুষ অচেনা স্বরে কথা বলছে। বুঝলাম আমার ‘হরিরামপুর সাংস্কৃতিক সংসদে’র স্বপ্ন ও শ্রমের গড়া ‘কামারপাড়া স্কুল’ লক্ষ্যচ্যুত। রন্ধ্রে রন্ধ্রে পলিটিক্স।

অবসরপ্রাপ্ত জীবনে শরীরের এ ক্ষয়িষ্ণু বেলায় এসেও সমাজ ও মানুষের মানবিকতা ও নৈতিকতা বোধের অধঃপতিত অবস্থান রোধে আমার কিছু একটা করার ঔচিত্য ও অদম্য তাগাদা অনুভব করি।

সমাজে মানবিকতা ও সততার দারুন অভাব। লক্ষ্যস্থির করি, আগত প্রজন্মের মাঝে একটি ‘ভালো মানুষ’ হওয়ার একটি ‘সফটওয়্যার’ ইনস্টল করার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করব।

মানুষের মাঝে ‘সুশিক্ষার বিস্তার’, ‘মানবিকতাবোধ জাগ্রত করা’ ও ‘দানশীলতার হাত প্রসারিত করার’ মতো মহৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য ‘আবদুল আউয়াল ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট’ নামে একটি ট্রাস্ট গঠন করি; যা সম্পূর্ণভাবে অরাজনৈতিক, অলাভজনক এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠান এবং যথারীতি জয়েন্ট ষ্টক কোম্পানী কর্তৃক নিবন্ধিত।

‘আদম সন্তান’কে প্রকৃত ‘মানুষ’ হিসেবে গড়ার জন্য, শিক্ষাদীক্ষায় অনগ্রসর অত্র এলাকায় সুশিক্ষার আলো জ্বালানোর জন্য এবং স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যেক নাগরিককে সুনাগরিককে হিসেবে গড়ার ব্রত নিয়ে ২০১১ সালের ২৪ ডিসেম্বর নিজের পৈতৃক ভিটায় প্রায় ২ বিঘা জমির ওপর ‘মামস-এম.এ.আউয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ’ নামীয় এ অনন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করি। পাঠদানের মানকে উন্নততর করার নিমিত্তে সকাল-সন্ধ্যা নিরলসভাবে শ্রম দিয়ে যাচ্ছি। আমার বিশ^াস লক্ষ অর্জনে আল্লাহ আমার সহায় হবেন।

শেষে বলতে চাই, জীবনের তারুণ্যে সংগ্রাম করেছি সমাজে বিদ্যমান অনাচার ও কদাচার নিরসন করে আদর্শ সমাজ গড়ার; যৌবনে মুক্তিযুদ্ধ করেছি দেশমাতাকে হানাদারমুক্ত করে স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার; আর জীবনের এ পড়ন্ত বেলায় আমরণ সংগ্রামে লিপ্ত আছি ‘প্রকৃত শিক্ষাদানের মাধ্যমে’ আদম সন্তানকে একজন প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার।জীবনের সকল সংগ্রামেই আল্লাহ আমাকে জয়ী করেছেন।
আমি আত্মবিশ্বাসী, আল্লাহ জীবনের এ শেষ সংগ্রামেও জয়ী করবেন। আমার স্বপ্ন সফল হলে অপরপাওে থেকেও শান্তি পাব। আপনাদের আন্তরিক দোয়া ও সার্বিক সহযোগিতা দানের অনুরোধ থাকলো।

গুণমুগ্ধ
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবদুল আউয়াল
২৪/১২/২০১১খ্রিঃ